জ্যোৎস্নার গান
- Rashef Mahbub
- Jun 16, 2022
- 1 min read
অন্তর-হৃদ মৃত্যু হয়াছে প্রাণটা রয়েছে বাকি
তবুও জোছনা আমায় ডেকো না তোমারে দেব না ফাঁকি।
চাঁদটার বুকে গর্ত করিয়া কবর খুঁড়েছ যবে
তোমাতে-আমাতে মিলেমিশে চাঁদ বহুদিন বেঁচে রবে।
একটি পৃথিবী নিলামে কি দিবি জোছনা আমারে বল্
আলোকে আঁধারে পালকে বাঁধারে মৃত্যু পাখির দল।
সহসা অথৈ আলোকের খই তবু পূর্ণিমা নয়
ঝিঝিরা মিলেছে, প্রেমকে শিখেছে, কিভাবে শেখাতে হয়।
চাঁদের পসরা লিখেছে খসড়া তাহারে আমার ভালে
শীত-কাঁপনের, কাঁথা আপনের, নিশি যাপনের কালে।
মেঘে মেঘে চাঁদ হারাবার কালে আবার ভাসিয়া ওঠে
লজ্জা রাঙ্গানো, শয্যা হারানো, তপসা প্রেয়সী ঠোঁটে।
বিধি-নিষেধের আরোপিত জাল জ্যোৎস্না ছিড়েছে কবে
প্রীতি-ভালবাসা, স্মৃতি-কাছে আসা, বন্দী করেছে ভবে।
জ্যোৎস্না হেরেছে, জ্যোৎস্না জিতেছে, জ্যোৎস্না উড়েছে নীলে
কুকুর বিড়ালে, ভ্রান্ত খেয়ালে, জ্যোৎস্না নিয়েছে গিলে।
অবাধ জোছনা, ভুলেও ধর না, জ্যোৎস্না কি গাছে ধরে?
বৃষ্টিতে মিশে, জ্যোৎস্নাও ভিজে, টুপ-টাপ করে পড়ে।
মন্দ নিশীথে, অন্ধ তৃষিতে, জ্যোৎস্নায় করে স্নান
এত ব্যথা বুকে, সয়ে ধুঁকে ধুঁকে, জ্যোৎস্না হয়েছে ম্লান।
কুসুম বাগানে, মহুয়ার গানে, জ্যোৎস্না উঠো না দিনে
প্রয়াত সকালে, অঝরা বিকালে, আর বেঁধো নাকো ঋণে।
তৃণলতা শেষে পরগাছা বেশে জ্যোৎস্না শুষিয়া নিতে
রাত্রি জেগেছে, অযথা রেগেছে, বরফ জমানো শীতে।
সন্ধ্যা নেমেছে, দিবসও ঘেমেছে, পাখি ফেরে নিকো নীড়ে
জোছনা উঠিলে, কপালে জুটিলে, সাথে নিয়ে যাবে ফিরে।
ক্ষণে ক্ষণে বনে জ্যোৎস্না চড়েছে মায়া-মেশা কোন রথে
ভ্রমণ শখেতে, দারুণ চোখেতে, ভীড় করে ছায়াপথে।
গোলাপে গোলাপে, জ্যোৎস্না প্রলাপে মিশায়ে দিয়াছে সাদা
চরকা কেটেছে, চাঁদেতে হেঁটেছে, বুড়ি পিঠে কুঁজ বাঁধা।
আলোকের ভেরী, করি ফেরি ফেরি, জ্যোৎস্না গেয়েছে গান
আমরা ধরণী, জ্যোৎস্না স্মরণি, ধরিয়া রেখেছি প্রাণ।
Comments