প্রিতমার সম্মতি #৪
- Rashef Mahbub
- Jul 7, 2022
- 1 min read
প্রিতমাকে খুঁজে পাওয়া গেল অবশেষে
তখন অবিরত ঝিঁঝিঁর ডাক আর বাঁদুরের ডানার ঝাপটায় রাত অনেক বেড়েছে
মাঝ-আকাশে জ্বলজ্বলে একটি তারা
রণক্লান্ত নাবিকের পথ প্রদর্শক হয়ে
সহস্রতম দিনটি যাপনের আশায়, কোনক্রমে ঝুলে আছে।
মনে পড়ে, এই তারার আলোর সাথে ফ্লাডলাইট মিশে
মহাক্ষণ কোন এক, সঙ্গী হয়েছিল তার
তিরোহিত সুখে বুক জুড়াবায়, মহাকাল তাকে- আজ ছুঁয়েছে আবার।
প্রিয় একটি শাড়ি, লাল-নীড় ডোরাকাটা পাড়
তৎক্ষণাৎ অভিমানে একবস্ত্রেই ঘর ছাড়ে সে
মাঝে মাঝে যেমন ছেড়ে যায়- কিছু ধূমকেতু;
রহস্যের বেড়াজাল ভেঙে, বহুদূর পথ পাড়ি দিয়ে
সহসা আছরে পড়ে পৃথিবীর বুকে;
মনে হয়, সেভাবেই ঘর ছেড়েছিল সে
মস্তিষ্কের নিউরনে অনুক্ষণ, যখন বিষাদের নিকোটিন পুড়ে একাকার
তিলে তিলে প্রিতমাকে নিয়েছিল তাই, সুবিশাল সাগরের পাড়।
প্রিতমা
তথাকথিত কবির কল্পনার আঁচরে, সে সঙ্গী হয়েছে-
মাঝনদীতে ভেসে থাকা নৌকার পালে,বাইজীর ওড়নায়, ভূতুড়ে প্যাঁচালে
রজনী-নিশিথে মন্ত্রপাঠের পর লজ্জিত প্রিতমা
সময়ের কলেবরে ঠাঁই নিয়েছে
মহাজ্ঞানী আর্গসের চেতনায়,ইকারুসের ডানায় ভরদিয়ে জন্ম দিয়েছে
মহৎপ্রাণ ম্যান্ডেলার;
তীরে আজ সাগরের, তাই অদ্ভুত প্রিতমা- হয়ে লাল-নীল শাড়ির আকার।
প্রিয় কিছু মুখ আজ আকাশের তারার বেশে, উঁকি দিয় দেখছে তাকে তর্জমা করে চলা কাঁকড়ার দল, গুটি গুটি পায়ে মাকড়সার মত স্বপ্নের জাল বুনে, এগিয়ে চলেছে তার দিকে; রণক্লান্ত প্রিতমা আর- সহস্র জীবনের গ্লানি, তার সুললিত মুখ আর দেহসৌষ্ঠবে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেয়ার অনন্ত আকাঙ্খায় মহাকালকে সাক্ষী করে- হারিয়েছে জীবনের জ্যোতি তীরহারা জীবনের শেষে,কাউকে না বলে কিছু, শুধুনিয়ে প্রিতমার সম্মতি।
Comments