গতিসীমা পঁয়ত্রিশ
- Rashef Mahbub
- Oct 13, 2022
- 6 min read
“স্যার, আপনার সাথে একটু আলাপ ছিল।”
ইমন অবাক হয়ে তাকাল সামনের লোকটার দিকে। বয়স ঠিক বোঝা যাচ্ছে না, ত্রিশ থেকে চল্লিশের মধ্যে কিছু একটা হবে। দাঁতগুলো ময়লা, পান খেতে খেতে সেগুলো লালচে হয়ে গেছে রীতিমত। পরনে জিন্স আর ইস্ত্রিবিহীন আলুথালু একটা চেকশার্ট। শার্টেও পানের পিকের রঙ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। গ্লোরিয়া জিন্সের এই আধুনিক পরিমিত পরিবেশে লোকটাকে বড্ড বেমানান লাগছে।
“আমি কি আপনাকে চিনি?”
“জ্বি না স্যার। তবে আমি আপনাকে চিনি। আপনি সাইক্রিয়াটিস্ট না স্যার?”
ইমন মনে মনে বেশ জোরেসোরেই “শিট” বলে উঠলো। এই লোক কিভাবে চিনলো তাকে। সে মোটামুটি বিখ্যাত ঠিক আছে, কিন্তু এই ব্যাটার তাকে কোনভাবেই চেনার কথা নয়।
লোকটা অনুমতির অপেক্ষা না করে চেয়ার টেনে নিজেই বসে পড়লো।
“স্যার আমি একটা সমস্যা নিয়ে আসছি…”
“দেখুন আমি এখানে কফি খেতে খেতে একান্ত কিছু সময় কাটাতে এসেছি। এখন আসলে অন্যের সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামানোর একদমই ইচ্ছে নেই।”
“স্যার আমি বেশি সময় নেব না। মাত্র দশ-পনের মিনিট। প্লিজ স্যার”
কিছু কিছু মানুষ হয় নাছোড়বান্দা। এই লোক সেই প্রজাতির মনে হচ্ছে। ঝাড়ি দিয়ে উঠিয়ে দেয়া যায়, কিন্তু সেক্ষেত্রে আশেপাশের লোকজনের হুদাই দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে। ইমন হাতের ঘড়ি দেখলো। এই ঘড়িটা অবন্তীর দেয়া। অবন্তী সারা দুনিয়া খুঁজে এমন কিছু সবসময় বের করবে যা পছন্দ হতে বাধ্য। ঘড়িটা যেমন সুন্দর তেমন পার্সোনাল একটা টাচ আছে। ঘড়ির বেল্টের ভিতরের দিকে লেখাঃ
“You are not a drop in the ocean; you are the entire ocean in a drop.”
রুমির অসম্ভব সুন্দর একটা কুয়োট, ইমনের খুব পছন্দ। অবন্তীর দেয়া ঘড়ি বলছে ওর আসতে আরো মিনিট ত্রিশেক দেরি। এই লোককে পনের মিনিট দেয়া যায়। এমনিতেও টাইম কাটানো একটা মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল টেনশনে।
“ঠিক আছে বলুন। অল্প কথায় বলুন। আমি ঘড়ি ধরে পনের মিনিট সময় আপনাকে দিচ্ছি। বার মিনিট আপনি বলবেন, আমি প্রশ্ন থাকলে করব এর মাঝেই। পরের তিন মিনিটে আমি আমার যা মনে হয় সেটা বলব। এরপর আর কথা বাড়াবেন না প্লিজ।”
লোকটা লালচে দাঁতগুলোর একদম বত্রিশ পাটি বের করে হাসলো।
“স্যার আমার নাম শফিক…”
“নাম ঠিকানা বাদ দিয়ে আসল কথায় আসুন প্লিজ। আপনার সমস্যার কথা বলুন।”
“ জ্বি আচ্ছা। আমি পেশায় একজন ট্রাক ড্রাইভার। পড়ালেখা জানতাম কিছুটা, ইন্টার পাশ। যাইহোক, আর কোন কাজ না পাইয়া এই পেশায় আসছি। তো আমার ধরেন কাজ ছিল সপ্তায় চার-পাঁচদিন ট্রাকে মাল নিয়ে আসা যাওয়া করা।”
“আপনি মনে হচ্ছে জোর করে আমার সাথে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করছেন। আপনি আপনার মত বলেন, আমি বুঝে নিব।”
শফিক হাসল। বেশ প্রাণখুলেই।
“না স্যার। আমি শুদ্ধ ভাষায়ই কথা বলতাম। বরং ট্রাক ড্রাইভারি করতে যেয়ে জোর করে অশুদ্ধ ভাষা বলা শুরু করছি।”
ইমন বেশ অবাক হল। এই লোকটাকে দেখে যতটাই ট্রাক ড্রাইভার মনে হয়, কথা শুনলে তার ঠিক ততটাই বিপরীত লাগে।
“আচ্ছা শেষ করুন।”
“এমনই একদিন রাতের বেলা ট্রাক নিয়ে যাইতেসি, ঘুম ঘুম পাচ্ছে ভালই। চায়ের দোকান আরো প্রায় ত্রিশ মিনিট পর। চোখ ডলে ডলে কোনমতে অতদূর যাইতে হবে। হঠাত রাস্তার পাশে নজর পড়তে বুঝলাম আমার ঘুম ভালমতই আসছে। রাস্তায় যে স্পীড লেখা থাকে না, ঐ যে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৩৫, ৪০ ঐসব। আমার এমন একটাতে চোখ পড়তে দেখি ঐ স্পীডের জায়গায় একটা মানুষের মুখ। একটা মধ্যবয়স্ক লোক, তাকায় আছে আমার দিকেই। তার শুধু মাথাটাই আছে, বাকিটা স্পীড সাইনের যে রড থাকে সেইটাই। কফিটা কেমন স্যার?”
শফিক ইমনের কফির দিকে ইঙ্গিত করল। ইমন তেমন অবাক হল না। তার নাতিদীর্ঘ সাইক্রিয়াটিস্ট প্রফেশনে সে বেশ অনেককেই দেখেছে এরকম এক কথা বলতে বলতে দুম করে প্রসঙ্গ বদলে ফেলতে।
“বেশ ভাল, তবে কড়া।”
“আমি কড়া কফি খাইতে পারি না স্যার। দাঁড়ান দুধ চিনি বাড়ায় দিয়ে একটা নিয়ে আসি।”
“এখন কফি না খেলে হয় না? আপনার টোটাল সময় বার মিনিট গল্প বলার, পাঁচ মিনিটে খেয়ে ফেলেছেন অলরেডি।”
“ঠিক আছে স্যার। কফি পরে খাব। যাইহোক ,আমি নিশ্চিত হলাম চোখে ধান্দা দেখতেসি। কিন্তু আরেকটু আগায় যাইতেই আরেকটা স্পীড মিটারেও দেখি একই চেহারা। আমার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকায় আছে। এবার স্যার আমি সত্যিই ভয় পেয়ে গেলাম।”
শফিক বিরতি নেয়ার জন্য থামলো। ইমন ঘড়ি দেখলো, অবন্তীর আসতে এখনও কিছুটা দেরি হলেও সে অন্যরকম একটা উত্তেজনা ফিল করছে।
“তারপর কি হল? কি করলেন আপনি?”
“আমি তখন স্যার কোনমতে ঐ চায়ের দোকানটায় যেতে পারলে বাঁচি। গাড়ির স্পীড অনেক বাড়ায় দিলাম। ভাবতেসিলাম আর কোন স্পীড মিটারের দিকে তাকাবোই না, কিন্তু আমার চোখ আপনা আপনি সেদিকে চলে যাচ্ছিল। এর মধ্যে যতগুলা স্পীড মিটার পরলো সবগুলাতে দেখি ঐ লোকের মাথা, আমার দিকে তাকায় আছে।”
শফিককে গল্প বলায় এভারেজের থেকে বেশ ভাল বলে মনে হচ্ছে ইমনের। লোকটা জানে গল্পের কোথায় বিরতি নিলে সাস্পেন্স বাড়বে।
“এইটাই আপনার গল্প? আপনি স্পীডমিটারের জায়গায় রাতের বেলা একটা মানুষের মাথা দেখসেন অনেকবার?”
“হ্যাঁ, তবে স্যার শুধু এইটা না। শুধু এইটা হলে ব্যাপারটা এতটাও খারাপ হইতো না।”
“তাহলে?”
“স্যার আমি যাদের মাথা দেখি, এরা সব সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় কয়েকদিনের মধ্যে।”
“হোয়াট? আপনি সেটা কিভাবে জানেন?”
“আমার স্যার রাশিফল নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। জানি আপনি উচ্চশিক্ষিত মানুষ, এইসব বিশ্বাস করেন না। আর আগ্রহ ঐ খেলাধুলা নিয়ে। এগুলার জন্য পত্রিকা আমি বেশ নিয়মিতই পড়ি। প্রথমবারের প্রায় দশদিন পর আমার সাথে একই ঘটনা আবার ঘটলো। মোটামুটি গ্রামের ভাঙ্গাচোরা একটা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম মাল ডেলিভারি দিতে। এবার বেশ জোয়ান এক ছেলের চেহারা দেখলাম ঐ গতিসীমার জায়গায়। দুইদিন পর পত্রিকা উল্টাইতে যেয়ে দেখি একই চেহারা। ছেলেটা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। আমার তখন মাথায় টর্নেডো চলতেসে স্যার। যেইদিন প্রথম চেহারা দেখসিলাম, ঐদিনের তারিখ মনে করে আশেপাশের তারিখের সব পত্রিকা খোঁজা শুরু করলাম, পেয়েও গেলাম। এইসব নিউজ কোন না কোন পত্রিকায় আসেই। ঐ লোকরেও এক বাস চাপা দিয়ে চলে গেছে দেখলাম।”
শফিক থামলো। একটানা গল্প বলে তার গলা শুকিয়ে গেছে। অনুমতি না নিয়েই সে ইমনের সামনের পানির বোতলটা থেকে ঢকঢক করে অনেকখানি পানি খেয়ে ফেলল। ইমন কিছু বলল না। সে বেশ চিন্তিত মুখে শফিককে দেখছে।
“আপনার কি এমন কেস দুইটাই? মানে দুইজনকে দেখেছেন আর তারা মারা গেছে এক্সিডেন্টে?”
“না স্যার, টোটাল হিসাব রাখি নাই, তবে ১২-১৩টা তো হবেই। আরেকটা ব্যাপার খেয়াল করসি আমি স্যার। ধরেন যেই গতিসীমায় যার মুখ দেখি, মরার সময় তার বয়স সম্ভবত তত ছিল।”
“বুঝি নি। বুঝিয়ে বলুন।”
“মানে ধরেন যেইটাতে গতিসীমা পঞ্চাশ, ঐখানে আমি এমন কারো মুখ দেখবো যার বয়সও পঞ্চাশ আর তারা ঐ বয়সেই মারা গেছে।”
“এইটাও কি আপনি পত্রিকায় পেয়েছেন?”
“হ্যাঁ স্যার তবে এইটা আমার একটা ধারণা বুঝলেন স্যার। পত্রিকায় বয়স গুলান ৪৮, ২৯ এইসব দেয়া, কিন্তু ঐগুলান তো সার্টিফিকেটের বয়স। আমার নিজের টাই দুই বছর কমানো।”
শফিক পান খাওয়া দাঁত বের করে হাসা শুরু করলো, যেন খুব হাসির কিছু বলেছে সে।
“দেখুন এই ঘটনার কোন ব্যাখ্যা আমি দিতে পারছি না। বেশ বিজার ঘটনা অবশ্যই। এবং জিনিসটা ঠিক সাইকোলজিক্যালও না যেহেতু ব্যাপারটা বারবারই ঘটছে। আপাতত এর কারণ বা ব্যাখ্যা বা কোন হাইপোথিসিসই আমার মাথায় আসছে না।”
শফিক ইমনকে অবাক করে দিয়ে বললো, “আমি স্যার এই ঘটনার ব্যাখ্যার জন্য আপনার কাছে আসি নি। এই ঘটনার কোন ব্যাখ্যা নাই।”
ইমনের মনে একটা সন্দেহ উঁকি দিচ্ছিল, এখন মনে হচ্ছে সেটাই সত্যি। সে ভয়ে ভয়ে প্রশ্ন করলো, “তাহলে কেন এসেছেন?”
“আমি দুই মাস আগে আপনের মাথা দেখসি স্যার।”
ইমন কিছু বলল না, তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে থাকলো শফিকের দিকে।
“আপনি যে মরে গেছেন প্রায় দুই মাস আগে কার এক্সিডেন্টে, এইডাও পড়সি পত্রিকায়। আপনারটা খোঁজা লাগে নাই, আপনি বিরাট সাইক্রিয়াটিস্ট ছিলেন, তাও এত কম বয়সে। পত্রিকা বড় করে নিউজ করসিলো আপনারে নিয়ে।”
ইমন কি বলবে বা কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। চারপাশে একগাদা লোক কফি খাচ্ছে। নাহলে এই শালাকে এখানেই খেলে দেয়া যেত। এখনও যাই, সেটা করতে গেলে আসল কাজ আর করা হবে না।
“আপনি আমার কাছে কি চান?”
“স্যার যেই কাজটা করতে আসছেন, ঐটা প্লিজ কইরেন না।”
ইমন এবার ভালমত অবাক হল। “আপনি কিভাবে জানেন আমি কি করতে এসেছি?”
“আপনি মৃত্যুর এই পারের দুনিয়ায় ছুটিতে আসার সময় যখন মেকাপরুমে মেকাপ নিচ্ছিলেন আর আপনার বন্ধুর সাথে কথা বলতেসিলেন, আমি তখন পাশের টয়লেটেই ছিলাম। আপনার সব আলাপ শুনে ফেলসি তখন। ইচ্ছা করে শুনিনি স্যার। কিছু মনে করবেন না।”
“আ-আপনি ঐখানে ছিলেন মা-মানে? কি-কি বলতেসেন! আপনিও কি তাইলে…””
“জ্বী স্যার, আমিও মরছি এই ধরেন দশদিন আগে। হুট করে নিজের মাথা দেখলাম সেদিন স্পীড সাইনে, দেখে গেলাম ঘাবড়ায়। কিছুক্ষণ পরেই করলাম এক্সিডেন্ট একটা বাসের সাথে। স্পট ডেড।”
অবন্তী চলে এসেছে, নীল শাড়িতে কি অপূর্ব সুন্দর লাগছে ওকে। সাথে রেজওয়ানকেও দেখা গেল, ছেলেটা সম্ভবত ডায়েট করছে, অনেক ওয়েইট লস করেছে। ওকেও দেখতে বেশ হ্যান্ডসাম লাগছে।
“স্যার প্লিজ, একবারই ছুটি পাই আমরা ঐ দুনিয়ায়। আমি আমার ছুটিটা মাটি করে আপনারে থামাইতে আসছি। মাফ করে দেন স্যার। প্রেমই তো করসে, মানুষ খুন তো করে নাই।”
ইমন শফিকের দিকে কড়া চোখে তাকাল। “এইটা প্রেম না, পরকীয়া।”
“হ্যাঁ স্যার, ভুল সে একটা অবশ্যই করসে। আপনারে ভাল্লাগতেসিলো না, আরেকজনরে লাগসে। সেটা লাগতেই পারে। আপনাকে বলে ডিভোর্স দিয়ে যা খুশি করতে পারতো।”
“এক্সাক্টলি, এইতো বুঝতে পারছেন।”
“জ্বী স্যার, কিন্তু উনি এমন কোন ভুলও করেন নাই যে এর জন্য খুন হইতে হবে।”
অবন্তী কি সুন্দর রেজওয়ানের সাথে হেসে হেসে গল্প করছে। ইমনের গা জ্বালা করে উঠলো। পকেটে হাত ঢুকিয়ে পিস্তল্টা চেপে ধরলো সে।
“দেখেন স্যার, আপনি তো মরেই গেছেন। হ্যাঁ, সে তার আগেই পরকীয়া শুরু করছে বুঝলাম। কিন্তু এখন এইটা ভেবে কোন লাভ আছে বলেন? দেখেন তারা কি সুখে আছে। মানুষ আজকের ব্যাথা কালকে ভুলে যায়, আর আপনি এক দুনিয়ার ব্যাথা আরেক দুনিয়ায় পুইষা রাখতেসেন। কি লাভ স্যার বলেন?”
ইমন পুরা এক মিনিট চুপ করে থাকলো। এরপর আস্তে করে পকেট থেকে হাত বের করে আনল। শফিকের মুখে হাসি ফুটলো।
“আপনি দুনিয়ায় একদিনের জন্য আসার মাত্র একটাই চান্স আমার পিছে কেন খরচ করলেন?”
“স্যার এত্ত এত্ত মানুষের মাথা দেখলাম ট্রাক চালাতে যেয়ে, কাউরে বাঁচাতে পারলাম না চিনি না দেখে। এই প্রথম যখন সুযোগ পাইলাম কাউরে বাঁচানোর, মনে হল এইটা যাতে নষ্ট না করি।”
শফিক উঠতে উঠতে বললো, “আপনি মানুষটা খারাপ না শফিক সাহেব। ধন্যবাদ আমাকে আজকে আটকানোর জন্য। তা কি করবেন এখন?”
“স্যার আপনার হাতে কি সময় আছে?”
“হ্যাঁ যে কাজে আসছিলাম সেই কাজ তো হল না। এখন বাকি দিনটুকু তো পুরা ফ্রি।”
“তাইলে চলেন স্যার। নারায়নগঞ্জের কাছাকাছি একটা হোটেল আছে, অতি চমৎকার হাঁসের মাংস আর ছিট রুটি বেঁচে। একবার খাইলে সারাজীবন মনে থাকবে আপনার।”
ইমন হেসে বলল “সারাজীবন না, সারামরণ শফিক সাহেব। চলেন যাই। খেয়ে আসি আপনার হাঁসের মাংস। যাবেন কিভাবে নারায়নগঞ্জ?”
“আপনার সমস্যা না থাকলে একটা ট্রাক ভাড়া করি স্যার চলেন। দশদিন ট্রাক চালাই না, হাতটা নিশপিশ করতেসে। আপনের মেকাপটা খুব ভাল হইসে স্যার। আমারটা তেমন সুবিধার হয় নাই…”
Comments